ইন্টারনেট এক অনন্য বিস্ময়কর আবিষ্কার। আমাদের কোনো বিষয় যেমন-কোনো বই, দর্শনীয় স্থান, কোনো বিখ্যাত ব্যক্তিসহ যেকোনো কিছু জানতে হলে প্রথমেই ইন্টারনেটের কথা মাথায় চলে আসে।
ইন্টারনেট বর্তমানে শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনোদন, তথ্য আদান-প্রদান, সরকারি ও বেসরকারি অফিসিয়াল কার্যক্রম সব ক্ষেত্রেই আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। ইন্টারনেটের ব্যবহার আমাদের জীবনকে সহজ থেকে সহজতর করে দিচ্ছে। ইন্টারনেট বর্তমান সময়ে তথ্য প্রেরণের একটি দ্রুত মাধ্যম। এটি নির্বিঘ্নে, সহজে ও তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করতে পারে। কোনো ব্যক্তি তার কম্পিউটারে বা মোবাইলে ক্লিক করে পৃথিবীর সব মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট ছাড়া আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক মুহূর্ত কল্পনা করতে পারি না। বলা বাহুল্য যে, ইন্টারনেট আবিষ্কার আমাদের মানবজীবনে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
একটি মুদ্রার যেমন দুটি পিঠ আছে, ঠিক তেমনি ইন্টারনেটেরও ভালো এবং মন্দ দিক রয়েছে। ইন্টারনেট যেমন আমাদের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে, ঠিক তেমনি এর অপব্যবহার আমাদের জন্য অকল্যাণ বয়ে আনতে পারে। বর্তমানে আমাদের দেশের তরুণ-তরুণীরা ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জুয়ার ভয়ানক ব্যাধিতে আক্রান্ত। ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জুয়া আমাদের দেশে এক ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে।
অনলাইন সাইটের জুয়ার নিয়ম হিসেবে একটি বেটিং ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের খেলা থাকে এসব খেলায় নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে বাজি রাখতে হয়। বাজি রাখা টাকার থেকে দুয়েকজন পেলেও বাকিরা হেরে যায়। হেরে যাওয়া টাকা চলে যায় এসব বিদেশি ক্যাসিনো প্রতিষ্ঠানে। এ ছাড়াও সাইটগুলোতে ক্রিকেট খেলায় নির্দিষ্ট ওভার বা বলে কত রান হবে অথবা নির্দিষ্ট ম্যাচটিতে কোন দল জিতবে তার ওপর ১:৩ অনুপাতে বেটিং করা হয়। সাধারণ ব্যবহারকারীরা টার্গেটকৃত রান বা তার নির্দিষ্ট দল জিতলে বেটিং পিবিইউর তিনগুণ ফেরত পান। এভাবেই বেটিং অনলাইন জুয়া পরিচালিত হয়। যদি এভাবে অনলাইনে লোকচক্ষুর অন্তরালে টাকা বিদেশে পাচার হতে থাকে, তা হলে দেশের অর্থনীতির খাতে বিপর্যয় নেমে আসবে। এটা শুধু ব্যক্তি বা পারিবারিক নয়, রাষ্ট্রীয় অর্থনীতিতে বেশ বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে।